Wednesday, November 4, 2020

এবার অনিদ্রা রুখতে আয়ুর্বেদের প্রয়োগ করা হবে ভারতে

এবার অনিদ্রা রুখতে আয়ুর্বেদের প্রয়োগ করা হবে ভারতে


মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত,  ০৪/১১/২০২০ :  প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা চোখ বন্ধ করে রাখা অথবা সুন্দর একটি ঘুমের থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিকূল প্রভাব সম্বলিত বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। ঠিকমতো ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও স্থুলকায় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এই অনিদ্রার সমস্যার সমাধান ভারতের চিরায়ত চিকিৎসা শাস্ত্র- আর্য়ুবেদে পাওয়া গেছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

শিলং-এ নর্থ ইস্টার্ন ইন্সটিটিউট অফ আর্য়ুবেদ অ্যান্ড হোমিওপ্যাথির থেকে প্রকাশিত আয়ুহোম-এ অনিদ্রা জনিত সমস্যার সমাধান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জয়পুরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ আর্য়ুবেদের পঞ্চকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর শাখার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর গোপেশ মঙ্গল এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। এ কাজে তাঁকে ওই সংস্থার দুই গবেষক নিধি গুপ্ত এবং প্রবেশ শ্রীবাস্তব সাহায্য করেছেন। 

আর্য়ুবেদের পঞ্চকর্ম থেরাপির মাধ্যমে অনিদ্রা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তারা সাফল্যর সন্ধান পেয়েছেন। এ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা গেছে অশ্বগন্ধার সঙ্গে শিরোধারা প্রয়োগ করে শমন চিকিৎসার মাধ্যমে অনিদ্রা জনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। 

Tuesday, September 15, 2020

দেশে দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে বেড়েছে মানসিক সমস্যা

দেশে দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে বেড়েছে মানসিক সমস্যা


মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৫/০৯/২০২০ : করোনা মহামারীর আবহে দীর্ঘদিন ধরে লক ডাউন চলার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার, সেই কারণে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও ভাবা হয়েছে। 

সাধারণ মানুষ ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাবের বিষয়টিকে উপলব্ধি করে  কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯-এর সময় সকলের মানসিক জোর বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে - ২৪X৭ হেল্পলাইন; মানসিক সমস্যা মোকাবিলার নীতি-নির্দেশিকা / পরামর্শ জারি; একাধিক গণমাধ্যমে মানসিক অবসাদ দূর করার উপযুক্ত পরামর্শ; ব্যাঙ্গালোর নিমহ্যানস প্রতিষ্ঠান মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টির ক্ষেত্রে বিস্তারিত নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। এছাড়াও মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য নীতি-নির্দেশিকা, পরামর্শ ও মানসিক চাপ দূর করার নানা পন্থাপদ্ধতি প্রকাশ করেছে।

মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পেশাদারদের অভাব একটি বড় সমস্যা। চলতি বছরে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শদাতাদের রাজ্যওয়াড়ি বিবরণ কেন্দ্রীয় স্তরে রাখা হয়নি। অবশ্য, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সহায়তায় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫টি উৎকর্ষকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এবং ৪৭টি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার মানবসম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এমনকি, একাধিক মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বা স্নায়বিক বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে।

রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।

Monday, September 14, 2020

ভারতে এই প্রথমবার ওপেন হার্ট অপারেশন ছাড়াই হার্টের দুটি ভালব সফলভাবে বদলে দেওয়া হল

ভারতে এই প্রথমবার ওপেন হার্ট অপারেশন ছাড়াই হার্টের দুটি ভালব সফলভাবে বদলে দেওয়া হল


মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৪/০৯/২০২০ : ভারতবর্ষে এই প্রথম ওপেন হার্ট অপারেশন ছাড়াই হার্টের দুটি ভালবই বদলে দেওয়া গেল। এই অসাধ্য সাধন করা হয়েছে ডক্টর রবীন্দ্র সিং রাওয়ের তত্বাবধানে। ডক্টর রাও  একজন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট এবং স্ট্রাকচারাল হার্ট ডিজিজ বিশেষজ্ঞ।

ভারতে প্রথমবার এই  ধরনের অপারেশন করা হল রাজস্থানের জয়পুরের ইটার্নাল হাসপাতালে। হৃৎপিণ্ডের দুরূহ অসুখ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫৫ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়।  তিনি কানাডার বাসিন্দা হলেও আদতে তিনি চন্ডিগড়ের মানুষ। TAVI -র ডিরেক্টর ডক্টর রায় তাঁর কেস হিস্ট্রি দেখে হৃৎপিণ্ডের দুটি ভালব বদলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ধরনের জটিল অপারেশন এর আগে আমাদের দেশে কখনো হয় নি। অভয়  দেন ডক্টর রাও। 

চন্ডিগড়ে নিজের বাড়িতেই ওই প্রৌঢ়ের হার্ট এটাক হয়েছিল। তাঁর হার্টের দুটি ভালব  খুব সরু হয়ে গিয়েছিল। যার জন্যে তিনি ঠিকমত নিঃশ্বাস  নিতে পারছিলেন না। এমনকি কোনো ওষুধ কাজ করছিল না। প্রাথমিকভাবে তাঁকে চন্ডিগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। এরপর ডক্টর রাও  তাঁকে দুটি ভালব বদলে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বড় কোনো অপারেশন ছাড়াই ওই প্রৌঢ়ের হৃৎপিণ্ডের দুটি ভালব  (Mitral & Aortic) সফলভাবে বদলে দেওয়া হয়।

ওই প্রৌঢ় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ঠিকমত শ্বাস নিতে পারছিলেন না, ঠিক মত চলাফেরা করতে পারছিলেন না।সাধারণত এই ধরনের অসুবিধায় ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হয়।  কিন্তু এই ক্ষেত্রে বড় কোনো অপারেশন ছাড়াই হার্টের দুটি ভালব  বদলে দিয়ে নাজির গড়লেন ডক্টর রাও।  ভারতবর্ষে এই ধরনের অপারেশন এই প্রথমবার করা হল। ওই প্রৌঢ়  এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। 

Sunday, August 23, 2020

দেশে এখন প্রতিদিন ৮ লক্ষেরও বেশি করোনা নমুনা টেস্ট করা হচ্ছে

দেশে এখন প্রতিদিন ৮ লক্ষেরও বেশি করোনা নমুনা টেস্ট করা হচ্ছে

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : জানুয়ারি মাসে দেশে একমাত্র পুণেতে একটি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হ’ত। গত ৬ দিন ধরে ৮ লক্ষেরও বেশি দৈনিক নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর ফলে, মোট ৩.৫ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮ লক্ষ ১ হাজার ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

সমন্বিত উদ্যোগের কারণে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই হার ঊর্ধ্বমুখী। ‘টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিট’ নীতি অবলম্বন করে আজকের হিসাবে প্রতি ১০ লক্ষ জন পিছু ২৫ হাজার ৫৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে, সংক্রমিতদের দ্রুত সনাক্ত করে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, দেশে ৯৮৩টি সরকারি এবং ৫৩২টি বেসরকারি পরীক্ষাগারে অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৫১৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

এর মধ্যে ৪৫৮টি সরকারি এবং ৩২২টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ৭৮০টি পরীক্ষাগারে রিয়েল টাইম আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। ৪৯১টি সরকারি এবং ১২৬টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ৬১৭টি পরীক্ষাগারে ট্র্যুন্যাট পদ্ধতিতে এবং ৩৪টি সরকারি ও ৮৪টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ১১৮টি পরীক্ষাগারে সিবিন্যাট পদ্ধতিতে নমুনাপরীক্ষা হচ্ছে।


সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : বর্ষাকালের শেষ, এবার ভাদ্র মাসের পালা। ভদ্র মাসের পচা  গরম কেটে গেলেই রাজ্যের আবহাওয়ায় আসবে মৃদু শীতের পরশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু নিয়ম মেনে চললেই শরীরের যত্ন নেওয়া যাবে। খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। 
আষাঢ়  শ্রাবন মাস শেষ, অর্থাৎ বর্ষাকালের শেষ। অন্তত ক্যালেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী তো বটেই। এখন চলছে ভাদ্র  মাস। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে যেভাবে নিম্ন চাপ বেড়ে চলেছে, তাতে করে ,মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েই  চলেছে রাজ্যজুড়ে। তবু ভাল ব্যাপার হল এটাই যে, ভাদ্র মাস হলেও বাতাসে কিন্তু সেই তপ্তভাবটা এখন আর নেই। মাঝে মধ্যে যে গরম একেবারেই পড়ছে  না তা নয়। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র দুপুরের দিকে কয়েক ঘণ্টার জন্যে। 
এখন থেকেই একেবারে ভোরের দিকে বাতাসে খুব সামান্য হলেও ঠান্ডা একটা শিরশিরানি ভাব চলে এসেছে। পাখার গতিবেগ যেন একটু কম হলেই ভাল হয়, এমন একটা  ভাব কিন্তু এসে গিয়েছে। তার সাথে রয়েছে রোজ দু'পশলা করে বৃষ্টি,  তাই এই মুহূর্তে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কম থাকছে। গোটা দিনের মধ্যে তাপমাত্রার এই তারতম্যই কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। কেননা এবার যত  দিন এগোবে বাতাসে তাপ কমতে থাকবে, শীতের একটা ছোঁয়া লেগে থাকবে। তাই অসুবিধা না হলে রাত্রে ঘুমোনোর সময় গায়ে একটা হালকা চাদর দিয়ে ঢেকেই শোয়া উচিত হবে।
শরৎকাল এমন একটা ঋতু  যে সময়ে খাবারের মধ্যে শাকসবজি জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে ভাল হয়। ঝিঙে, পটল, কুমড়ো বা ডাঁটা জাতীয় খাবার খেলে ভাল হয়। এর সাথে খাবারের তালিকায় রাখা উচিত হবে দুধ বা দই। এই সময়টায় ফল খাওয়াও উচিত হবে। এই সময়টায় ক্ষিদে বেশি পেতে পারে, গা ম্যাজম্যাজ করতে পারে। সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই সময়টায় মাংস বা রিচ ফুড একটু এড়িয়ে চলুন।
এই মুহূর্তে গোটা দেশেই করোনা মহামারীর আবহ রয়েছে। যদিও ভারত সরকার ঘোষণা করেছে চলতি বছরের মধ্যেই কোরোনার প্রতিষেধক ভারত বাজারে এসে যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, সেই প্রতিষেধক এখনো কিন্তু বাজারে আসে নি। তাই যতক্ষন না প্রতিষেধক এসে যাচ্ছে, ততক্ষণ কোরোনার হাত থেকে রেহাই পেতেই হবে। তাই সব রকম স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই পালন করতে হবে। যেমন মুখে মাস্ক পড়তেই হবে। হাত বার বার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।অযথা মুখে বা চোখে হাত দেওয়া চলবে না। হাতে নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। এই সময়টায় মশার আক্রমন থেকেও নিজেকে বাঁচাতে হবে, কেননা ডেঙ্গুর ভয়টা এখনো থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শিশুদের জন্যে। 

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ :  সুস্থ থাকতে কে না চায় ! কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যে চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আর সেই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে করলা  এবং উচ্ছের মত সবজিকে।

এবার জেনে নিন করলা  আর উচ্ছে কিভাবে বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে -
১) করলার পাতা শরীরে মূত্র বৃদ্ধি করে. কৃমি বিনাশ করে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। ওষুধ হিসেবেও করলার অনেক গুন্ রয়েছে। 
২) বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্যরাজ সুশ্রুত বলেছেন, করলার পাতা জোলাপের মত কাজ করে, আবার প্রয়োজন হলে বমি করতেও সাহায্য করে। 
৩) করলা পাতার রস লবন মিশিয়ে খাইয়ে দিলে রোগীর পিত্তের বিষ বমি এবং মলত্যাগের দ্বারা নির্গত হয়ে যায়।
৪) ম্যালেরিয়া হলে করলা পাতার রস শরীরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সাড়ে তিনটি করলার পাতা এবং তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ে নিয়ম করে খেলে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
৫) অনেক সময় অম্লপিত্তের কারণে ভাত খাওয়ার পরেই অনেকের বমি পায়, সেইসব ক্ষেত্রে করলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে অথবা কাঁচা অবস্থায় লবন মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব।
৬) তিনটি করলার বিচি এবং তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প জলে মিশিয়ে খেলে বাচ্ছাদের বমি বন্ধ হয়। তবে সেক্ষেত্রে পরপর ছয় দিন খাওয়াতে হবে।
৭) দশ চা চামচ করলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিস্কার হয়ে যায়। কোনো কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ওষুধ হিসেবেও প্রয়োগ করা যায়। 
৮) কচি করলা টুকরো করে কেটে, ছায়ায়  শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দুই চামচ করে এই চূর্ণ খেলে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার সারবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা সুগার হওয়ার দরুন খাওয়া দেওয়ার বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এইভাবে রোজ খেয়ে গেলে শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৯) করলার রস এক চামচ নিয়ে তাতে অল্প একটুখানি  চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে অর্শ  বা অর্শ  থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
করলা এবং উচ্ছে একই রকমভাবে কাজ করবে। নিয়মিত ভাতের সাথে করলা বা উচ্ছের মত সবজি দিয়ে তরকারি খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। চিকিৎসকেরাও ব্লাড সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে খাওয়ার ওপর জোর দেন।

কৃতজ্ঞতা : ডক্টর সঞ্জীবন বসু 

জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পালস চেক করবেন

জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পালস চেক করবেন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : বর্তমানে শরীর খারাপ করলেই নানারকম টেস্ট করতে হয়, ইউরিন টেস্ট, স্টুল টেস্ট, সুগার টেস্ট, ব্লাড টেস্ট, প্রেসার চেক ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমেই অসুস্থ ব্যক্তির 'পালস' ঠিক আছে কিনা তা দেখা উচিত। একটা সময় ছিল যখন  চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র নাড়ি দেখেই অনেক কিছু বলে দিতে পারতেন। তাই এই নাড়ি দেখার বিষয়টি যদি একটু জেনে রাখা যায়, তাহলে হঠাৎ করে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক এসে পৌঁছনোর আগেই পালস দেখে রাখতে পারলে, তাঁকে অন্তত জানানো যাবে যে তিনি এসে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত পালস রেট কেমন ছিল। এতে চিকিৎসকেরও বুঝতে সুবিধা হবে।  

অসুস্থ ব্যক্তির পালস বুঝতে গেলে তাঁর হাতের কব্জির নিচের দিকে নাড়ির ওপর আঙুলের তর্জনী, মধ্যমা  এবং অনামিকা দিয়ে আলতো চাপ দিতে হবে। তাহলেই অসুস্থ ব্যক্তির নাড়ির স্পন্দন কেমন তা সহজেই বুঝতে পারা যাবে। আগেকার দিনে চিকিৎসকেরা নাড়ির ওপারে রাখা আঙুলগুলি দিয়েই অসুস্থতার অনেক কিছু টের পেয়ে যেতেন। তর্জনী দিয়ে তাঁরা বায়ু বুঝতে পারতেন, মধ্যমা দিয়ে তাঁরা পিত্ত সম্পর্কে বুঝতেন এবং অনামিকা দিয়ে তাঁরা বুঝতেন রোগীর কফের গতি।এরপর তাঁরা চিকিৎসা শুরু করতেন। 

শরীরে বায়ুর আধিক্য থাকলে নাড়ি চলবে বক্রভাবে। পিত্তের আধিক্য বেশি হলে নাড়ি চলবে চঞ্চলভাবে। কফের আধিক্য থাকলে নাড়ির গতি হবে স্থির। যদি বায়ু ও পিত্তের উভয় সমস্যাই থাকে তাহলে নাড়ি চলবে কখনো বক্রভাবে আবার কখনো চঞ্চলভাবে। বায়ু এবং কফ একসাথে থাকলে নাড়ি কখনো বক্রভাবে চলবে আবার কখনো কখনো স্থির হয়ে আসবে। যদি দেখা যায় নাড়ি কখনো বক্র, কখনো চঞ্চল আবার কখনো স্থির হয়ে আসছে, তাহলে বুঝতে হবে রোগীর তিনটি সমস্যাই রয়েছে।

যিনি নাড়ি পরীক্ষা করবেন তাঁকে ধীর এবং স্ত্রীর থাকতে হবে এবং নাড়ির প্রকৃত প্রকৃতি তাঁকে ধরতে হবে। অভিজ্ঞাতা অর্জনের জন্যে পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন সময়ে নাড়ি  পরীক্ষা করলে অভিজ্ঞাতা বাড়তে পারে। এখানে যে আলোচনা করা হচ্ছে, তা নিতান্তই ঘরোয়া উপায়। কেননা এখন পালস বা নাড়ি  দেখার জন্যে অনেক রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি বাজারে এসে গিয়েচ্ছে। তবে প্রেশার চেক করার যে ডিজিটাল ডিভাইস বা  অক্সিমিটার রয়েছে তাতে পালস রেট বোঝা সম্ভব। কিন্তু পালস বা নাড়ির  প্রকৃতি বোঝা সম্ভব নয়। অনেক সময় হয়ত সামান্য অসুস্থতা হয়েছে, যার জন্যে হয়ত ডাক্তারকে ডাকাও হচ্ছে না, সেসব ক্ষেত্রে কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে নাড়ি  দেখতে জানার অভিজ্ঞতা কিন্তু বেশ কাজে দিতে পারে। 

এবার দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন বয়সে নাড়ির  গতি কেমন থাকা উচিত ? 

১ বছর বয়স পর্যন্ত - প্রতি মিনিটে ১৩০ - ১৪০ বার

১ থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত - মিনিটে ১১৫ থেকে ১৩০ বার 

২ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ১০০ থেকে ১১৫ বার

৩ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৮৫ থেকে ৯০ বার

১৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৮০ থেকে ৮৫ বার

৫১ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৫০ থেকে ৬৫ বার

একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে কোনো কোন সময় নাড়ি  পরীক্ষা করতে নেই - 

১) রোগী যদি বেশ ক্ষুধার্ত থাকে তাহলে তাঁর নাড়ি  পরীক্ষা করতে নেই

২) খাবার খাওয়ার সময় বা তার ঠিক পরেই নাড়ি পরীক্ষা করা উচিত নয়

৩) তেল মাখার পরক্ষণেই নাড়ি  পরীক্ষা করা ঠিক নয়

৪) রোগী যদি প্রখর রোদ  থেকে তেতেপুড়ে আসেন তাহলে তখনই তাঁর নাড়ি  পরীক্ষা করা ঠিক নয়

৫) সময় ব্যতিরেকে -  একজন সুস্থ মানুষের নাড়ির গতি সময় ব্যতিরেকে পরিবর্তনশীল হতে পারে। যেমন, সকাল বেলায় একরকম আবার গ্রীষ্মের দুপরে আর এক রকম, আবার রাত্রিবেলায় আর এক রকম, এরকমও হতে পারে। তাই যিনি নাড়ি  পরীক্ষা করবেন, তাঁকে এই বিষয়গুলিও বিবেচনায়  রাখতে হবে।

Thursday, July 23, 2020

আপনার হাতঘড়ি খুঁজবে করোনা, নতুন আবিস্কার ভারতের

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস,  নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ২৩/০৭/২০২০ : আপনার আশেপাশে কে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আর কেই বা করোনা ভাইরাসের জন্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি তা নিখুঁতভাবে জানার জন্যে এবার বাজারে আসছে নতুন একধরনের অত্যাধুনিক রিস্ট ব্যান্ড। 
নাগপুরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স, যোধপুর আই আইটি এবং নাগপুরের আইআইটি যৌথভাবে এই রিস্ট ব্যান্ড তৈরি করেছে। খুব শীঘ্রই এই রিস্ট ব্যান্ড বাজারে আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণভাবে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষদের খুঁজে বের করতে যে মোবাইল এপ্লকেশনগুলি এই মুহূর্তে কাজ করছে নতুন আবিষ্কৃত ডিভাইসটি সেগুলির থেকে অনেক উন্নত।
নতুন এই ডিভাইসটি কাজ করবে দুটি জিনিসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথমটি হল নিরবিচ্ছিন্ন নেট কানেকশান এবং যে সব করোনা আক্রান্ত রোগীরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বসে মোবাইলে নেট ঘাঁটছেন, সেগুলিকে ভিত্তি করে। বর্তমানে  যে সব মোবাইল এপ্লিকেশনগুলি রয়েছে সেগুলি মোবাইলের জিপিএস বা টাওয়ার লোকেশন ট্রায়াঙ্গুলেশান প্রক্রিয়াকে ভিত্তি করে আপনার দেড় বা দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের খোঁজ দিতে পারে। 
কিন্তু সেক্ষেত্রে সেইসব মানুষ নিজেকে কিভাবে সেইসব এপ্লিকেশনের  জবাব দিচ্ছেন, তার ওপরেই নির্ভর করতে হয়।অর্থাৎ সেই এপ্লিকেশনগুলি আপনাকে বা যে কোনো মানুষকে যে প্রশ্ন গুলি করবে, তার উত্তর কেউ কিভাবে দিচ্ছেন তার ওপারেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এই ডিভাইসের ক্ষেত্রে যাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বা হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের মোবাইল বা নেট ঘাঁটা থেকেই তথ্য বেরিয়ে আসবে, আপনার আশেপাশে কে  বা কারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, আর কেই বা রয়েছেন সন্দেহের তালিকায়।
এই ডিভাইস ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে মোবাইল ঘাঁটতেও হবে না। এর জিওফেনসিং প্রযুক্তি আপনাকে রাস্তাঘাটে জানান দেবে, আপনার আশেপাশে কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে। রিস্টব্যান্ডে থাকা এই ডিভাইস আপনাকে নিখুঁতভাবে বলে দিতে পারবে আপনার আশেপাশে কে কে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আবার এই ডিভাইস আপনি ঘড়ির মত ব্যবহার করতেও পারবেন। 
তাছাড়া পাবেন আপনার তাপমাত্রা, পালস এবং রেসপিরেটরি ও শরীরে অক্সিজেন মাত্রার রিপোর্টও।. আপনি নিজেই যদি কোয়ারেন্টাইন থাকেন, তাহলে অনায়াসে এই সব মেডিকেল তথ্য আপনার চিকিৎসক পেয়ে যাবেন আপনার কাছে থাকা এই ডিভাইস থেকেই। এই তথ্যগুলি আবার আপনি প্রয়োজনে সেভ করেও রাখতে পারবেন। এই অসাধারন প্রযুক্তি আবিস্কারের পিছনে রয়েছেন নাগপুরের ডক্টর ময়ূর পারাটে এবং ডক্টর অঙ্কিত ভুরানে। 

Friday, July 17, 2020

এবার প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, নতুন দিল্লী, ভারত, ১৮/০৭/২০২০ : গতকালই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের দেশে মোট ৩৪,৮৮৪ জন মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে মোট ১০,৩৮,৭১৬ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন  হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসারত রয়েছেন মোট ৩,৫৮,৬৯২ জন মানুষ। এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬,৫৩,৭৫১ জন মানুষ। তাঁদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৯৭১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনা সংক্রামিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৬,২৭৩ জন মানুষ। 
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে খারাপভাবে প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত মোট ২,৯২,৫৮৯ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ১১,৪৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে  দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২,৩১৫ জন মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬০,৯০৭।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লীর নাম। এখানে এখনো পর্যন্ত মোট ১,২০,১০৭ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩,৫৭১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৮,০১১ জন মানুষ, যার মধ্যে ১৪,৭০৯ জনের চিকিৎসা চলছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যা ২২,২৫৩, তবে এখনো পর্যন্ত মোট ১,০৪৯ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এই রাজ্যে। 
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ ১৭ই জুলাই পর্যন্ত মোট ১,৩৪,৩৩,৭৪২ জন মানুষের দেহে কোরোনার টেস্ট করা হয়েছে। গতকাল টেস্ট করা হয়েছে মোট ৩,৬১,০২৪ জন মানুষের শরীরে।

যোগ ও ধ্যানাভ্যাস করোনা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে, বলছেন দুই গবেষক

বিদেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৭/০৭/২০২০ : করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে হলে চিকিৎসা যেমন দরকার, তার পাশাপাশি যোগ এবং ধ্যানাভ্যাস ততটাই দরকার বলে মনে করছেন সান ডিয়াগোর ক্যালিফোর্নিয়ার ভারতীয় গবেষক শ্রী দীপক চোপড়া এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম বুশেল। 
'দ্য জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ এন্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন' নামে একটি জার্নালে এই দুই গবেষক বলেছেন, নিয়মিত যোগা এবং ধ্যানাভ্যাস করোনা রোগকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এই দুই গবেষকদের বক্তব্য, "যদি আপনার প্রতিদিন নিয়ম করে যোগা করার অভ্যাস থাকে, বিশেষত, তার মধ্যে যদি প্রাণায়াম করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার শ্বাসনালী পরিস্কার থাকে, নিয়মিত যোগাভ্যাস যে কোনো ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্যে শরীরকে বাড়তি শক্তি যোগান দেয়। শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে রাখে। সেই ইমিউনিটি করোনা ভাইরাসের মত রোগের  বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যেও শরীরকে বাড়তি রসদ যোগায়।"
"প্রতিদিন যদি আপনার ধ্যান বা মেডিটেশন করার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেই অভ্যাস আপনার মনকে শান্ত করে এবং মনকে দৃঢ় করে। করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্যে যে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়, তা নিয়মিত ধ্যানাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে অনায়াসে  অর্জন  করা যায়। তাই সাধারণত যাঁরা নিয়মিত যোগা করেন বা ধ্যানাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে চলেন, তাঁদের শরীরে ভাইরাস চট করে বাসা বাঁধতে পারে না। আর ভাইরাস আক্রমন করলেও খুব সহজেই তা প্রতিহত করা সম্ভব" বলে জার্নালে দাবী করেছেন এই দুই গবেষক।

করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করতে যথেষ্ট মনের জোর চাই

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৭/০৭/২০২০ : "করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যদি দেখা যায় খুব বেশি হতাশ বোধ কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠছেন  অথবা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন , তাহলে করোনা ভাইরাস সেই রোগীর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করেছে বলে বোঝা যায়", আজ এমনটাই দাবী করলেন সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা। 
সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ইত্যাদির লক্ষণ দেখা যায়, কিন্তু করোনা ভাইরাস যদি সেন্ট্রাল নার্ভাস  সিস্টেমকে আক্রমন করে বসে, তাহলে উত্তেজিত হওয়া, আতঙ্কিত হওয়া, খুব বেশি রকম হতাশ হয়ে পড়ার পাশাপাশি আরও যে লক্ষণগুলি দেখা যাবে সেগুলি হল গন্ধ নেওয়ার অক্ষমতা, জিভে স্বাদ নেওয়ার অক্ষমতা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি। 
তবে করোনা ভাইরাস যে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করবেই এমন কথা নেই, তবে যদি করে তাহলে বিপদ বাড়বে। কেননা দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে হলে মনের জোর বা আত্মবিশ্বাসটাও অনেক ভাল কাজ করে। ভারতে এমন অনেক বয়স্ক মানুষ দেখা গিয়েছে, যাঁদের বয়স হয়ত ৯০এর ঊর্র্ধে, এমনকি শতাধিক বয়সের রোগীও পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা করোনা রোগকে পরাজিত করেছেন শুধুমাত্র মানসিক জোর ছিল বলেই। আত্মবিশ্বাস কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
সুইজারল্যান্ডে করোনা সংক্ৰমন হয়ে যাওয়ার ৬ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে এমন ১১৪ জন মানুষের সাথে গবেষকরা টেলিফোনে কথা বলে তাঁদের মনস্তত্ব বিচার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, করোনা রোগকে হারাতে গেলে মানের জোর থাকা অত্যন্ত জরুরি। ওই ১১৪ জন রোগীর প্রায় সকলেই এই কথা জানিয়েছেন। আসলে এটাও ঠিক যে, যেহেতু করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য ভান্ডার বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পর্যন্ত নেই, যেহেতু এই  ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো বাজারে আসেনি, এই কারণগুলোও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্ক তৈরি করার জন্যে যথেষ্ট। তবু গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলেও কুছ পরোয়া নেই। চিকিৎসার পাশাপাশি মনের জোর থাকুক অটুট।তাহলেই করোনা ভাইরাস পিছু হঠতে থাকবে।

সৌজন্যে : ANI

Thursday, July 16, 2020

মোটা মানুষের কোরোনার ঝুঁকি অনেক বেশি, বলছেন মার্কিন গবেষকরা

বিদেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৬/০৭/২০২০ : মার্কিন গবেষকরা বলছেন, স্থূলতা বা মোটা হয়ে গেলে যে কোনো ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে শরীরে  সংক্রমণের সমস্যাকে অনেকটা  বাড়িয়ে দেয়। তার মানে মেটাবলিক সিনড্রোম আপনার শরীরে  ভাইরাল ইনফেকশানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় । 
ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে শরীরের স্থূলতা কিভাবে বিপদ ডেকে আনতে পারে,  সেটা নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের সেন্ট জুডস গ্র্যাজুয়েট অফ বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অফ টেননেসি হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষকরা। তাঁদের গবেষণার মূল বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ভাইরোলজি বিষয়ক একটি জার্নালে।
গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, স্থূলতা মূল তিনটি উল্লেখযোগ্য বিপদ ডেকে আনে মানব শরীরে, সেগুলি হল হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস। এর সাথে সাথেই আরও কিছু ঝুঁকি চলে আসে যেগুলি হল পেটে চর্বি জমে যাওয়া, হাই ব্লাড প্রেসার, অতিরিক্ত ব্লাড সুগার, অনিয়ন্ত্রিত লিপিড, অনিয়ন্ত্রিত ইন্সুলিন ক্ষরণ ইত্যাদি। গবেষকরা দেখিয়েছেন মোটা হয়ে যাওয়ার জন্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা  A সংক্ৰমন হয়ে যেতে পারে খুব সহজেই। যদিও ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন রয়েছে, যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার রসদ যোগায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের থেকে স্থূল  মানুষের ক্ষেত্রে রোগের ঝুঁকিটা দ্বিগুন হয়ে যায়। সেটা কম বিপদজনক নয়।
গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে। গবেষকরা বলতে চেয়েছেন, করোনা একটি ভাইরাল অসুখ। বিশ্বের বহু দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক দিয়ে করোনা রোগের চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে। মানব শরীরের স্থূলতা করোনা রোগের  ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণ মানুষের চেয়ে স্থূল বা মোটা মানুষদের যেহেতু অন্যান্য রোগের লক্ষণ থাকার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি, তাই এই সব ক্ষেত্রে করোনা সংক্ৰমন হলে রোগীর কোমরবিডিটি থাকার চান্স অনেক বেশি। গোটা বিশ্বেই বেশিরভাগ  করোনা আক্রান্ত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন কোমরবিডিটির জন্যেই। তাই স্থূলতা ইনফ্লুয়েঞ্জা বা করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই; বলা যায় প্রায় দ্বিগুন। 
আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজিকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জীববিদ্যার গবেষণা কেন্দ্র বলা যেতে পারে। যেখানে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিজ্ঞ গবেষকরা অনবরত গৱেষণার কাজে নিয়োজিত থাকেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা নানাভাবে গবেষণার  কাজে ব্যস্ত আছেন, কিন্তু মোটা মানুষের দেহে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের দেহের থেকে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে যে ঝুঁকির পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে ওঠে, এই প্রথম সেই বিষয়টা উঠে এল গবেষকদের জার্নালে। সুতরাং স্থূলতা থেকে সাবধান।

Friday, July 3, 2020

বেসরকারি চিকিৎসকেরাও এবার করোনা টেস্টের সুপারিশ করতে পারবেন

 দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, নতুন দিল্লী, ভারত, ০৩/০৭/২০২০ :  লালারসের নমুনার পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শনাক্তকরণের  পরিমাণ খুব শীঘ্রই ১ কোটিতে পৌঁছেবে। কেন্দ্র সবরকমের বাধা দূর করায় এটা সম্ভব হচ্ছে। আজ পর্যন্ত মোট ৯০,৫৬,১৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১,০৬৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যার মধ্যে সরকারি পরীক্ষাগার ৭৬৮টি এবং বেসরকারি পরীক্ষাগার ২৯৭টি। এর ফলে, প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল ২,২৯,৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
কেন্দ্র কোভিড-১৯-এর পরীক্ষার জন্য এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখন থেকে সরকারি চিকিৎসকরা ছাড়াও যে কোন নিবন্ধীকৃত চিকিৎসক এই পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারবেন। বেসরকারি চিকিৎসকরা সহ যে কোন যোগ্য চিকিৎসক যাতে এই পরীক্ষা করার সুপারিশ করতে পারেন কেন্দ্র সেই মর্মে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। 
এই মহামারীর সংক্রমণ আটকানোর জন্য সেটিকে দ্রুত চিহ্নিত করার কৌশল কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছে। এর ফলে ‘টেস্ট౼ ট্র্যাক ౼ট্রিট’-এর মাধ্যমে সমস্ত পরীক্ষাগারগুলিতে নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমিতদের দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
আইসিএমআর এক সুদুর প্রসারী নীতি অনুসারে পরীক্ষাগারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন নিয়ম মেনে যে কোন মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে এবং কেউ পরীক্ষা করাতে চাইলে রাজ্য কতৃপক্ষ তাঁকে বাধা দিতে পারবে না। কারণ দ্রুত পরীক্ষা করলে কেউ সংক্রমিত কিনা সেটি বোঝা যাবে এবং অনেকের প্রাণ বাঁচবে।

কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার সবথেকে ভালো পদ্ধতি র্যাযপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে আরটি-পিসিআর পদ্ধতির পাশাপাশি এই পদ্ধতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনে এই পরীক্ষা কন্টেনমেন্ট এলাকায় এবং হাসপাতালে করা যাবে।  র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সহজ, দ্রুত ও  নিরাপদ  একটি পরীক্ষা౼যার স্বীকৃত কিট প্রচুর সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আরো বেশি পরীক্ষা করা যাবে।কেন্দ্র নমুনা পরীক্ষা আরো ব্যাপকভাবে করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরীক্ষা শিবির, মোবাইল ভ্যান ইত্যাদির ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এর ফলে যাদের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যারা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন౼তাঁদের সকলের বাড়ির দোরগোড়ায় নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি হবে। এক্ষেত্রে  র্যা পিড আন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা যাবে।