Sunday, August 23, 2020

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ :  সুস্থ থাকতে কে না চায় ! কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যে চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আর সেই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে করলা  এবং উচ্ছের মত সবজিকে।

এবার জেনে নিন করলা  আর উচ্ছে কিভাবে বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে -
১) করলার পাতা শরীরে মূত্র বৃদ্ধি করে. কৃমি বিনাশ করে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। ওষুধ হিসেবেও করলার অনেক গুন্ রয়েছে। 
২) বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্যরাজ সুশ্রুত বলেছেন, করলার পাতা জোলাপের মত কাজ করে, আবার প্রয়োজন হলে বমি করতেও সাহায্য করে। 
৩) করলা পাতার রস লবন মিশিয়ে খাইয়ে দিলে রোগীর পিত্তের বিষ বমি এবং মলত্যাগের দ্বারা নির্গত হয়ে যায়।
৪) ম্যালেরিয়া হলে করলা পাতার রস শরীরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সাড়ে তিনটি করলার পাতা এবং তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ে নিয়ম করে খেলে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
৫) অনেক সময় অম্লপিত্তের কারণে ভাত খাওয়ার পরেই অনেকের বমি পায়, সেইসব ক্ষেত্রে করলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে অথবা কাঁচা অবস্থায় লবন মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব।
৬) তিনটি করলার বিচি এবং তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প জলে মিশিয়ে খেলে বাচ্ছাদের বমি বন্ধ হয়। তবে সেক্ষেত্রে পরপর ছয় দিন খাওয়াতে হবে।
৭) দশ চা চামচ করলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিস্কার হয়ে যায়। কোনো কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ওষুধ হিসেবেও প্রয়োগ করা যায়। 
৮) কচি করলা টুকরো করে কেটে, ছায়ায়  শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দুই চামচ করে এই চূর্ণ খেলে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার সারবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা সুগার হওয়ার দরুন খাওয়া দেওয়ার বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এইভাবে রোজ খেয়ে গেলে শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৯) করলার রস এক চামচ নিয়ে তাতে অল্প একটুখানি  চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে অর্শ  বা অর্শ  থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
করলা এবং উচ্ছে একই রকমভাবে কাজ করবে। নিয়মিত ভাতের সাথে করলা বা উচ্ছের মত সবজি দিয়ে তরকারি খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। চিকিৎসকেরাও ব্লাড সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে খাওয়ার ওপর জোর দেন।

কৃতজ্ঞতা : ডক্টর সঞ্জীবন বসু 

No comments:

Post a Comment