Thursday, July 23, 2020

আপনার হাতঘড়ি খুঁজবে করোনা, নতুন আবিস্কার ভারতের

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস,  নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ২৩/০৭/২০২০ : আপনার আশেপাশে কে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আর কেই বা করোনা ভাইরাসের জন্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি তা নিখুঁতভাবে জানার জন্যে এবার বাজারে আসছে নতুন একধরনের অত্যাধুনিক রিস্ট ব্যান্ড। 
নাগপুরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স, যোধপুর আই আইটি এবং নাগপুরের আইআইটি যৌথভাবে এই রিস্ট ব্যান্ড তৈরি করেছে। খুব শীঘ্রই এই রিস্ট ব্যান্ড বাজারে আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণভাবে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষদের খুঁজে বের করতে যে মোবাইল এপ্লকেশনগুলি এই মুহূর্তে কাজ করছে নতুন আবিষ্কৃত ডিভাইসটি সেগুলির থেকে অনেক উন্নত।
নতুন এই ডিভাইসটি কাজ করবে দুটি জিনিসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথমটি হল নিরবিচ্ছিন্ন নেট কানেকশান এবং যে সব করোনা আক্রান্ত রোগীরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বসে মোবাইলে নেট ঘাঁটছেন, সেগুলিকে ভিত্তি করে। বর্তমানে  যে সব মোবাইল এপ্লিকেশনগুলি রয়েছে সেগুলি মোবাইলের জিপিএস বা টাওয়ার লোকেশন ট্রায়াঙ্গুলেশান প্রক্রিয়াকে ভিত্তি করে আপনার দেড় বা দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের খোঁজ দিতে পারে। 
কিন্তু সেক্ষেত্রে সেইসব মানুষ নিজেকে কিভাবে সেইসব এপ্লিকেশনের  জবাব দিচ্ছেন, তার ওপরেই নির্ভর করতে হয়।অর্থাৎ সেই এপ্লিকেশনগুলি আপনাকে বা যে কোনো মানুষকে যে প্রশ্ন গুলি করবে, তার উত্তর কেউ কিভাবে দিচ্ছেন তার ওপারেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এই ডিভাইসের ক্ষেত্রে যাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বা হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁদের মোবাইল বা নেট ঘাঁটা থেকেই তথ্য বেরিয়ে আসবে, আপনার আশেপাশে কে  বা কারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, আর কেই বা রয়েছেন সন্দেহের তালিকায়।
এই ডিভাইস ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে মোবাইল ঘাঁটতেও হবে না। এর জিওফেনসিং প্রযুক্তি আপনাকে রাস্তাঘাটে জানান দেবে, আপনার আশেপাশে কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে। রিস্টব্যান্ডে থাকা এই ডিভাইস আপনাকে নিখুঁতভাবে বলে দিতে পারবে আপনার আশেপাশে কে কে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আবার এই ডিভাইস আপনি ঘড়ির মত ব্যবহার করতেও পারবেন। 
তাছাড়া পাবেন আপনার তাপমাত্রা, পালস এবং রেসপিরেটরি ও শরীরে অক্সিজেন মাত্রার রিপোর্টও।. আপনি নিজেই যদি কোয়ারেন্টাইন থাকেন, তাহলে অনায়াসে এই সব মেডিকেল তথ্য আপনার চিকিৎসক পেয়ে যাবেন আপনার কাছে থাকা এই ডিভাইস থেকেই। এই তথ্যগুলি আবার আপনি প্রয়োজনে সেভ করেও রাখতে পারবেন। এই অসাধারন প্রযুক্তি আবিস্কারের পিছনে রয়েছেন নাগপুরের ডক্টর ময়ূর পারাটে এবং ডক্টর অঙ্কিত ভুরানে। 

Friday, July 17, 2020

এবার প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, নতুন দিল্লী, ভারত, ১৮/০৭/২০২০ : গতকালই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের দেশে মোট ৩৪,৮৮৪ জন মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে মোট ১০,৩৮,৭১৬ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন  হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসারত রয়েছেন মোট ৩,৫৮,৬৯২ জন মানুষ। এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬,৫৩,৭৫১ জন মানুষ। তাঁদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৯৭১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনা সংক্রামিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৬,২৭৩ জন মানুষ। 
আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে খারাপভাবে প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত মোট ২,৯২,৫৮৯ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ১১,৪৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে  দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২,৩১৫ জন মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬০,৯০৭।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লীর নাম। এখানে এখনো পর্যন্ত মোট ১,২০,১০৭ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩,৫৭১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৮,০১১ জন মানুষ, যার মধ্যে ১৪,৭০৯ জনের চিকিৎসা চলছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যা ২২,২৫৩, তবে এখনো পর্যন্ত মোট ১,০৪৯ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এই রাজ্যে। 
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ ১৭ই জুলাই পর্যন্ত মোট ১,৩৪,৩৩,৭৪২ জন মানুষের দেহে কোরোনার টেস্ট করা হয়েছে। গতকাল টেস্ট করা হয়েছে মোট ৩,৬১,০২৪ জন মানুষের শরীরে।

যোগ ও ধ্যানাভ্যাস করোনা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে, বলছেন দুই গবেষক

বিদেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৭/০৭/২০২০ : করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে হলে চিকিৎসা যেমন দরকার, তার পাশাপাশি যোগ এবং ধ্যানাভ্যাস ততটাই দরকার বলে মনে করছেন সান ডিয়াগোর ক্যালিফোর্নিয়ার ভারতীয় গবেষক শ্রী দীপক চোপড়া এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম বুশেল। 
'দ্য জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ এন্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন' নামে একটি জার্নালে এই দুই গবেষক বলেছেন, নিয়মিত যোগা এবং ধ্যানাভ্যাস করোনা রোগকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এই দুই গবেষকদের বক্তব্য, "যদি আপনার প্রতিদিন নিয়ম করে যোগা করার অভ্যাস থাকে, বিশেষত, তার মধ্যে যদি প্রাণায়াম করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার শ্বাসনালী পরিস্কার থাকে, নিয়মিত যোগাভ্যাস যে কোনো ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্যে শরীরকে বাড়তি শক্তি যোগান দেয়। শরীরের ইমিউনিটি বাড়িয়ে রাখে। সেই ইমিউনিটি করোনা ভাইরাসের মত রোগের  বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যেও শরীরকে বাড়তি রসদ যোগায়।"
"প্রতিদিন যদি আপনার ধ্যান বা মেডিটেশন করার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেই অভ্যাস আপনার মনকে শান্ত করে এবং মনকে দৃঢ় করে। করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্যে যে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়, তা নিয়মিত ধ্যানাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে অনায়াসে  অর্জন  করা যায়। তাই সাধারণত যাঁরা নিয়মিত যোগা করেন বা ধ্যানাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে চলেন, তাঁদের শরীরে ভাইরাস চট করে বাসা বাঁধতে পারে না। আর ভাইরাস আক্রমন করলেও খুব সহজেই তা প্রতিহত করা সম্ভব" বলে জার্নালে দাবী করেছেন এই দুই গবেষক।

করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করতে যথেষ্ট মনের জোর চাই

দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৭/০৭/২০২০ : "করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যদি দেখা যায় খুব বেশি হতাশ বোধ কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠছেন  অথবা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন , তাহলে করোনা ভাইরাস সেই রোগীর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করেছে বলে বোঝা যায়", আজ এমনটাই দাবী করলেন সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা। 
সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ইত্যাদির লক্ষণ দেখা যায়, কিন্তু করোনা ভাইরাস যদি সেন্ট্রাল নার্ভাস  সিস্টেমকে আক্রমন করে বসে, তাহলে উত্তেজিত হওয়া, আতঙ্কিত হওয়া, খুব বেশি রকম হতাশ হয়ে পড়ার পাশাপাশি আরও যে লক্ষণগুলি দেখা যাবে সেগুলি হল গন্ধ নেওয়ার অক্ষমতা, জিভে স্বাদ নেওয়ার অক্ষমতা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি। 
তবে করোনা ভাইরাস যে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করবেই এমন কথা নেই, তবে যদি করে তাহলে বিপদ বাড়বে। কেননা দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে হলে মনের জোর বা আত্মবিশ্বাসটাও অনেক ভাল কাজ করে। ভারতে এমন অনেক বয়স্ক মানুষ দেখা গিয়েছে, যাঁদের বয়স হয়ত ৯০এর ঊর্র্ধে, এমনকি শতাধিক বয়সের রোগীও পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা করোনা রোগকে পরাজিত করেছেন শুধুমাত্র মানসিক জোর ছিল বলেই। আত্মবিশ্বাস কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
সুইজারল্যান্ডে করোনা সংক্ৰমন হয়ে যাওয়ার ৬ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে এমন ১১৪ জন মানুষের সাথে গবেষকরা টেলিফোনে কথা বলে তাঁদের মনস্তত্ব বিচার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, করোনা রোগকে হারাতে গেলে মানের জোর থাকা অত্যন্ত জরুরি। ওই ১১৪ জন রোগীর প্রায় সকলেই এই কথা জানিয়েছেন। আসলে এটাও ঠিক যে, যেহেতু করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য ভান্ডার বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পর্যন্ত নেই, যেহেতু এই  ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো বাজারে আসেনি, এই কারণগুলোও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্ক তৈরি করার জন্যে যথেষ্ট। তবু গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলেও কুছ পরোয়া নেই। চিকিৎসার পাশাপাশি মনের জোর থাকুক অটুট।তাহলেই করোনা ভাইরাস পিছু হঠতে থাকবে।

সৌজন্যে : ANI

Thursday, July 16, 2020

মোটা মানুষের কোরোনার ঝুঁকি অনেক বেশি, বলছেন মার্কিন গবেষকরা

বিদেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৬/০৭/২০২০ : মার্কিন গবেষকরা বলছেন, স্থূলতা বা মোটা হয়ে গেলে যে কোনো ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে শরীরে  সংক্রমণের সমস্যাকে অনেকটা  বাড়িয়ে দেয়। তার মানে মেটাবলিক সিনড্রোম আপনার শরীরে  ভাইরাল ইনফেকশানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় । 
ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে শরীরের স্থূলতা কিভাবে বিপদ ডেকে আনতে পারে,  সেটা নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের সেন্ট জুডস গ্র্যাজুয়েট অফ বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অফ টেননেসি হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষকরা। তাঁদের গবেষণার মূল বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ভাইরোলজি বিষয়ক একটি জার্নালে।
গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, স্থূলতা মূল তিনটি উল্লেখযোগ্য বিপদ ডেকে আনে মানব শরীরে, সেগুলি হল হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস। এর সাথে সাথেই আরও কিছু ঝুঁকি চলে আসে যেগুলি হল পেটে চর্বি জমে যাওয়া, হাই ব্লাড প্রেসার, অতিরিক্ত ব্লাড সুগার, অনিয়ন্ত্রিত লিপিড, অনিয়ন্ত্রিত ইন্সুলিন ক্ষরণ ইত্যাদি। গবেষকরা দেখিয়েছেন মোটা হয়ে যাওয়ার জন্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা  A সংক্ৰমন হয়ে যেতে পারে খুব সহজেই। যদিও ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন রয়েছে, যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার রসদ যোগায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের থেকে স্থূল  মানুষের ক্ষেত্রে রোগের ঝুঁকিটা দ্বিগুন হয়ে যায়। সেটা কম বিপদজনক নয়।
গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে। গবেষকরা বলতে চেয়েছেন, করোনা একটি ভাইরাল অসুখ। বিশ্বের বহু দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক দিয়ে করোনা রোগের চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে। মানব শরীরের স্থূলতা করোনা রোগের  ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। সাধারণ মানুষের চেয়ে স্থূল বা মোটা মানুষদের যেহেতু অন্যান্য রোগের লক্ষণ থাকার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি, তাই এই সব ক্ষেত্রে করোনা সংক্ৰমন হলে রোগীর কোমরবিডিটি থাকার চান্স অনেক বেশি। গোটা বিশ্বেই বেশিরভাগ  করোনা আক্রান্ত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন কোমরবিডিটির জন্যেই। তাই স্থূলতা ইনফ্লুয়েঞ্জা বা করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই; বলা যায় প্রায় দ্বিগুন। 
আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজিকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জীববিদ্যার গবেষণা কেন্দ্র বলা যেতে পারে। যেখানে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিজ্ঞ গবেষকরা অনবরত গৱেষণার কাজে নিয়োজিত থাকেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা নানাভাবে গবেষণার  কাজে ব্যস্ত আছেন, কিন্তু মোটা মানুষের দেহে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের দেহের থেকে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে যে ঝুঁকির পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে ওঠে, এই প্রথম সেই বিষয়টা উঠে এল গবেষকদের জার্নালে। সুতরাং স্থূলতা থেকে সাবধান।

Friday, July 3, 2020

বেসরকারি চিকিৎসকেরাও এবার করোনা টেস্টের সুপারিশ করতে পারবেন

 দেশ

মেডিকেল নিউজ প্লাস, নতুন দিল্লী, ভারত, ০৩/০৭/২০২০ :  লালারসের নমুনার পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শনাক্তকরণের  পরিমাণ খুব শীঘ্রই ১ কোটিতে পৌঁছেবে। কেন্দ্র সবরকমের বাধা দূর করায় এটা সম্ভব হচ্ছে। আজ পর্যন্ত মোট ৯০,৫৬,১৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১,০৬৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যার মধ্যে সরকারি পরীক্ষাগার ৭৬৮টি এবং বেসরকারি পরীক্ষাগার ২৯৭টি। এর ফলে, প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল ২,২৯,৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
কেন্দ্র কোভিড-১৯-এর পরীক্ষার জন্য এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখন থেকে সরকারি চিকিৎসকরা ছাড়াও যে কোন নিবন্ধীকৃত চিকিৎসক এই পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারবেন। বেসরকারি চিকিৎসকরা সহ যে কোন যোগ্য চিকিৎসক যাতে এই পরীক্ষা করার সুপারিশ করতে পারেন কেন্দ্র সেই মর্মে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। 
এই মহামারীর সংক্রমণ আটকানোর জন্য সেটিকে দ্রুত চিহ্নিত করার কৌশল কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছে। এর ফলে ‘টেস্ট౼ ট্র্যাক ౼ট্রিট’-এর মাধ্যমে সমস্ত পরীক্ষাগারগুলিতে নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমিতদের দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
আইসিএমআর এক সুদুর প্রসারী নীতি অনুসারে পরীক্ষাগারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন নিয়ম মেনে যে কোন মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে এবং কেউ পরীক্ষা করাতে চাইলে রাজ্য কতৃপক্ষ তাঁকে বাধা দিতে পারবে না। কারণ দ্রুত পরীক্ষা করলে কেউ সংক্রমিত কিনা সেটি বোঝা যাবে এবং অনেকের প্রাণ বাঁচবে।

কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার সবথেকে ভালো পদ্ধতি র্যাযপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। কেন্দ্র, রাজ্যগুলিকে আরটি-পিসিআর পদ্ধতির পাশাপাশি এই পদ্ধতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনে এই পরীক্ষা কন্টেনমেন্ট এলাকায় এবং হাসপাতালে করা যাবে।  র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সহজ, দ্রুত ও  নিরাপদ  একটি পরীক্ষা౼যার স্বীকৃত কিট প্রচুর সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আরো বেশি পরীক্ষা করা যাবে।কেন্দ্র নমুনা পরীক্ষা আরো ব্যাপকভাবে করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরীক্ষা শিবির, মোবাইল ভ্যান ইত্যাদির ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এর ফলে যাদের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যারা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন౼তাঁদের সকলের বাড়ির দোরগোড়ায় নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি হবে। এক্ষেত্রে  র্যা পিড আন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা যাবে।