Sunday, August 23, 2020

দেশে এখন প্রতিদিন ৮ লক্ষেরও বেশি করোনা নমুনা টেস্ট করা হচ্ছে

দেশে এখন প্রতিদিন ৮ লক্ষেরও বেশি করোনা নমুনা টেস্ট করা হচ্ছে

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : জানুয়ারি মাসে দেশে একমাত্র পুণেতে একটি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হ’ত। গত ৬ দিন ধরে ৮ লক্ষেরও বেশি দৈনিক নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর ফলে, মোট ৩.৫ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮ লক্ষ ১ হাজার ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

সমন্বিত উদ্যোগের কারণে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই হার ঊর্ধ্বমুখী। ‘টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিট’ নীতি অবলম্বন করে আজকের হিসাবে প্রতি ১০ লক্ষ জন পিছু ২৫ হাজার ৫৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে, সংক্রমিতদের দ্রুত সনাক্ত করে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, দেশে ৯৮৩টি সরকারি এবং ৫৩২টি বেসরকারি পরীক্ষাগারে অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৫১৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।

এর মধ্যে ৪৫৮টি সরকারি এবং ৩২২টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ৭৮০টি পরীক্ষাগারে রিয়েল টাইম আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। ৪৯১টি সরকারি এবং ১২৬টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ৬১৭টি পরীক্ষাগারে ট্র্যুন্যাট পদ্ধতিতে এবং ৩৪টি সরকারি ও ৮৪টি বেসরকারি অর্থাৎ মোট ১১৮টি পরীক্ষাগারে সিবিন্যাট পদ্ধতিতে নমুনাপরীক্ষা হচ্ছে।


সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : বর্ষাকালের শেষ, এবার ভাদ্র মাসের পালা। ভদ্র মাসের পচা  গরম কেটে গেলেই রাজ্যের আবহাওয়ায় আসবে মৃদু শীতের পরশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু নিয়ম মেনে চললেই শরীরের যত্ন নেওয়া যাবে। খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। 
আষাঢ়  শ্রাবন মাস শেষ, অর্থাৎ বর্ষাকালের শেষ। অন্তত ক্যালেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী তো বটেই। এখন চলছে ভাদ্র  মাস। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে যেভাবে নিম্ন চাপ বেড়ে চলেছে, তাতে করে ,মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েই  চলেছে রাজ্যজুড়ে। তবু ভাল ব্যাপার হল এটাই যে, ভাদ্র মাস হলেও বাতাসে কিন্তু সেই তপ্তভাবটা এখন আর নেই। মাঝে মধ্যে যে গরম একেবারেই পড়ছে  না তা নয়। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র দুপুরের দিকে কয়েক ঘণ্টার জন্যে। 
এখন থেকেই একেবারে ভোরের দিকে বাতাসে খুব সামান্য হলেও ঠান্ডা একটা শিরশিরানি ভাব চলে এসেছে। পাখার গতিবেগ যেন একটু কম হলেই ভাল হয়, এমন একটা  ভাব কিন্তু এসে গিয়েছে। তার সাথে রয়েছে রোজ দু'পশলা করে বৃষ্টি,  তাই এই মুহূর্তে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কম থাকছে। গোটা দিনের মধ্যে তাপমাত্রার এই তারতম্যই কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। কেননা এবার যত  দিন এগোবে বাতাসে তাপ কমতে থাকবে, শীতের একটা ছোঁয়া লেগে থাকবে। তাই অসুবিধা না হলে রাত্রে ঘুমোনোর সময় গায়ে একটা হালকা চাদর দিয়ে ঢেকেই শোয়া উচিত হবে।
শরৎকাল এমন একটা ঋতু  যে সময়ে খাবারের মধ্যে শাকসবজি জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে ভাল হয়। ঝিঙে, পটল, কুমড়ো বা ডাঁটা জাতীয় খাবার খেলে ভাল হয়। এর সাথে খাবারের তালিকায় রাখা উচিত হবে দুধ বা দই। এই সময়টায় ফল খাওয়াও উচিত হবে। এই সময়টায় ক্ষিদে বেশি পেতে পারে, গা ম্যাজম্যাজ করতে পারে। সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই সময়টায় মাংস বা রিচ ফুড একটু এড়িয়ে চলুন।
এই মুহূর্তে গোটা দেশেই করোনা মহামারীর আবহ রয়েছে। যদিও ভারত সরকার ঘোষণা করেছে চলতি বছরের মধ্যেই কোরোনার প্রতিষেধক ভারত বাজারে এসে যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, সেই প্রতিষেধক এখনো কিন্তু বাজারে আসে নি। তাই যতক্ষন না প্রতিষেধক এসে যাচ্ছে, ততক্ষণ কোরোনার হাত থেকে রেহাই পেতেই হবে। তাই সব রকম স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই পালন করতে হবে। যেমন মুখে মাস্ক পড়তেই হবে। হাত বার বার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।অযথা মুখে বা চোখে হাত দেওয়া চলবে না। হাতে নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। এই সময়টায় মশার আক্রমন থেকেও নিজেকে বাঁচাতে হবে, কেননা ডেঙ্গুর ভয়টা এখনো থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শিশুদের জন্যে। 

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

সুস্থ থাকতে হলে করলা আর উচ্ছে খাওয়ার অভ্যাস করুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ :  সুস্থ থাকতে কে না চায় ! কিন্তু নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যে চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আর সেই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে করলা  এবং উচ্ছের মত সবজিকে।

এবার জেনে নিন করলা  আর উচ্ছে কিভাবে বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে -
১) করলার পাতা শরীরে মূত্র বৃদ্ধি করে. কৃমি বিনাশ করে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। ওষুধ হিসেবেও করলার অনেক গুন্ রয়েছে। 
২) বিখ্যাত প্রাচীন বৈদ্যরাজ সুশ্রুত বলেছেন, করলার পাতা জোলাপের মত কাজ করে, আবার প্রয়োজন হলে বমি করতেও সাহায্য করে। 
৩) করলা পাতার রস লবন মিশিয়ে খাইয়ে দিলে রোগীর পিত্তের বিষ বমি এবং মলত্যাগের দ্বারা নির্গত হয়ে যায়।
৪) ম্যালেরিয়া হলে করলা পাতার রস শরীরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সাড়ে তিনটি করলার পাতা এবং তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়ে নিয়ম করে খেলে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
৫) অনেক সময় অম্লপিত্তের কারণে ভাত খাওয়ার পরেই অনেকের বমি পায়, সেইসব ক্ষেত্রে করলার ফুল বা পাতা ঘিয়ে ভেজে অথবা কাঁচা অবস্থায় লবন মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব।
৬) তিনটি করলার বিচি এবং তিনটি গোলমরিচ একসঙ্গে অল্প জলে মিশিয়ে খেলে বাচ্ছাদের বমি বন্ধ হয়। তবে সেক্ষেত্রে পরপর ছয় দিন খাওয়াতে হবে।
৭) দশ চা চামচ করলা পাতার রসে একটু হিং মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিস্কার হয়ে যায়। কোনো কারণে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে এটা ওষুধ হিসেবেও প্রয়োগ করা যায়। 
৮) কচি করলা টুকরো করে কেটে, ছায়ায়  শুকিয়ে নিয়ে মিহি করে পিষে চার মাস ধরে সকালে ও সন্ধ্যেবেলায় নিয়মিত দুই চামচ করে এই চূর্ণ খেলে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার সারবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা সুগার হওয়ার দরুন খাওয়া দেওয়ার বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এইভাবে রোজ খেয়ে গেলে শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৯) করলার রস এক চামচ নিয়ে তাতে অল্প একটুখানি  চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে অর্শ  বা অর্শ  থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
করলা এবং উচ্ছে একই রকমভাবে কাজ করবে। নিয়মিত ভাতের সাথে করলা বা উচ্ছের মত সবজি দিয়ে তরকারি খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। চিকিৎসকেরাও ব্লাড সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে খাওয়ার ওপর জোর দেন।

কৃতজ্ঞতা : ডক্টর সঞ্জীবন বসু 

জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পালস চেক করবেন

জেনে রাখুন, ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পালস চেক করবেন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : বর্তমানে শরীর খারাপ করলেই নানারকম টেস্ট করতে হয়, ইউরিন টেস্ট, স্টুল টেস্ট, সুগার টেস্ট, ব্লাড টেস্ট, প্রেসার চেক ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমেই অসুস্থ ব্যক্তির 'পালস' ঠিক আছে কিনা তা দেখা উচিত। একটা সময় ছিল যখন  চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র নাড়ি দেখেই অনেক কিছু বলে দিতে পারতেন। তাই এই নাড়ি দেখার বিষয়টি যদি একটু জেনে রাখা যায়, তাহলে হঠাৎ করে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক এসে পৌঁছনোর আগেই পালস দেখে রাখতে পারলে, তাঁকে অন্তত জানানো যাবে যে তিনি এসে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত পালস রেট কেমন ছিল। এতে চিকিৎসকেরও বুঝতে সুবিধা হবে।  

অসুস্থ ব্যক্তির পালস বুঝতে গেলে তাঁর হাতের কব্জির নিচের দিকে নাড়ির ওপর আঙুলের তর্জনী, মধ্যমা  এবং অনামিকা দিয়ে আলতো চাপ দিতে হবে। তাহলেই অসুস্থ ব্যক্তির নাড়ির স্পন্দন কেমন তা সহজেই বুঝতে পারা যাবে। আগেকার দিনে চিকিৎসকেরা নাড়ির ওপারে রাখা আঙুলগুলি দিয়েই অসুস্থতার অনেক কিছু টের পেয়ে যেতেন। তর্জনী দিয়ে তাঁরা বায়ু বুঝতে পারতেন, মধ্যমা দিয়ে তাঁরা পিত্ত সম্পর্কে বুঝতেন এবং অনামিকা দিয়ে তাঁরা বুঝতেন রোগীর কফের গতি।এরপর তাঁরা চিকিৎসা শুরু করতেন। 

শরীরে বায়ুর আধিক্য থাকলে নাড়ি চলবে বক্রভাবে। পিত্তের আধিক্য বেশি হলে নাড়ি চলবে চঞ্চলভাবে। কফের আধিক্য থাকলে নাড়ির গতি হবে স্থির। যদি বায়ু ও পিত্তের উভয় সমস্যাই থাকে তাহলে নাড়ি চলবে কখনো বক্রভাবে আবার কখনো চঞ্চলভাবে। বায়ু এবং কফ একসাথে থাকলে নাড়ি কখনো বক্রভাবে চলবে আবার কখনো কখনো স্থির হয়ে আসবে। যদি দেখা যায় নাড়ি কখনো বক্র, কখনো চঞ্চল আবার কখনো স্থির হয়ে আসছে, তাহলে বুঝতে হবে রোগীর তিনটি সমস্যাই রয়েছে।

যিনি নাড়ি পরীক্ষা করবেন তাঁকে ধীর এবং স্ত্রীর থাকতে হবে এবং নাড়ির প্রকৃত প্রকৃতি তাঁকে ধরতে হবে। অভিজ্ঞাতা অর্জনের জন্যে পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন সময়ে নাড়ি  পরীক্ষা করলে অভিজ্ঞাতা বাড়তে পারে। এখানে যে আলোচনা করা হচ্ছে, তা নিতান্তই ঘরোয়া উপায়। কেননা এখন পালস বা নাড়ি  দেখার জন্যে অনেক রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি বাজারে এসে গিয়েচ্ছে। তবে প্রেশার চেক করার যে ডিজিটাল ডিভাইস বা  অক্সিমিটার রয়েছে তাতে পালস রেট বোঝা সম্ভব। কিন্তু পালস বা নাড়ির  প্রকৃতি বোঝা সম্ভব নয়। অনেক সময় হয়ত সামান্য অসুস্থতা হয়েছে, যার জন্যে হয়ত ডাক্তারকে ডাকাও হচ্ছে না, সেসব ক্ষেত্রে কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে নাড়ি  দেখতে জানার অভিজ্ঞতা কিন্তু বেশ কাজে দিতে পারে। 

এবার দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন বয়সে নাড়ির  গতি কেমন থাকা উচিত ? 

১ বছর বয়স পর্যন্ত - প্রতি মিনিটে ১৩০ - ১৪০ বার

১ থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত - মিনিটে ১১৫ থেকে ১৩০ বার 

২ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ১০০ থেকে ১১৫ বার

৩ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৮৫ থেকে ৯০ বার

১৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৮০ থেকে ৮৫ বার

৫১ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত - মিনিটে ৫০ থেকে ৬৫ বার

একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে কোনো কোন সময় নাড়ি  পরীক্ষা করতে নেই - 

১) রোগী যদি বেশ ক্ষুধার্ত থাকে তাহলে তাঁর নাড়ি  পরীক্ষা করতে নেই

২) খাবার খাওয়ার সময় বা তার ঠিক পরেই নাড়ি পরীক্ষা করা উচিত নয়

৩) তেল মাখার পরক্ষণেই নাড়ি  পরীক্ষা করা ঠিক নয়

৪) রোগী যদি প্রখর রোদ  থেকে তেতেপুড়ে আসেন তাহলে তখনই তাঁর নাড়ি  পরীক্ষা করা ঠিক নয়

৫) সময় ব্যতিরেকে -  একজন সুস্থ মানুষের নাড়ির গতি সময় ব্যতিরেকে পরিবর্তনশীল হতে পারে। যেমন, সকাল বেলায় একরকম আবার গ্রীষ্মের দুপরে আর এক রকম, আবার রাত্রিবেলায় আর এক রকম, এরকমও হতে পারে। তাই যিনি নাড়ি  পরীক্ষা করবেন, তাঁকে এই বিষয়গুলিও বিবেচনায়  রাখতে হবে।