Sunday, August 23, 2020

সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

সিজন চেঞ্জ হচ্ছে, এই সময় একটু সাবধানে থাকুন

মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), ২৪/০৮/২০২০ : বর্ষাকালের শেষ, এবার ভাদ্র মাসের পালা। ভদ্র মাসের পচা  গরম কেটে গেলেই রাজ্যের আবহাওয়ায় আসবে মৃদু শীতের পরশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছু নিয়ম মেনে চললেই শরীরের যত্ন নেওয়া যাবে। খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। 
আষাঢ়  শ্রাবন মাস শেষ, অর্থাৎ বর্ষাকালের শেষ। অন্তত ক্যালেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী তো বটেই। এখন চলছে ভাদ্র  মাস। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে যেভাবে নিম্ন চাপ বেড়ে চলেছে, তাতে করে ,মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েই  চলেছে রাজ্যজুড়ে। তবু ভাল ব্যাপার হল এটাই যে, ভাদ্র মাস হলেও বাতাসে কিন্তু সেই তপ্তভাবটা এখন আর নেই। মাঝে মধ্যে যে গরম একেবারেই পড়ছে  না তা নয়। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র দুপুরের দিকে কয়েক ঘণ্টার জন্যে। 
এখন থেকেই একেবারে ভোরের দিকে বাতাসে খুব সামান্য হলেও ঠান্ডা একটা শিরশিরানি ভাব চলে এসেছে। পাখার গতিবেগ যেন একটু কম হলেই ভাল হয়, এমন একটা  ভাব কিন্তু এসে গিয়েছে। তার সাথে রয়েছে রোজ দু'পশলা করে বৃষ্টি,  তাই এই মুহূর্তে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কম থাকছে। গোটা দিনের মধ্যে তাপমাত্রার এই তারতম্যই কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। কেননা এবার যত  দিন এগোবে বাতাসে তাপ কমতে থাকবে, শীতের একটা ছোঁয়া লেগে থাকবে। তাই অসুবিধা না হলে রাত্রে ঘুমোনোর সময় গায়ে একটা হালকা চাদর দিয়ে ঢেকেই শোয়া উচিত হবে।
শরৎকাল এমন একটা ঋতু  যে সময়ে খাবারের মধ্যে শাকসবজি জাতীয় খাদ্য বেশি খেলে ভাল হয়। ঝিঙে, পটল, কুমড়ো বা ডাঁটা জাতীয় খাবার খেলে ভাল হয়। এর সাথে খাবারের তালিকায় রাখা উচিত হবে দুধ বা দই। এই সময়টায় ফল খাওয়াও উচিত হবে। এই সময়টায় ক্ষিদে বেশি পেতে পারে, গা ম্যাজম্যাজ করতে পারে। সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই সময়টায় মাংস বা রিচ ফুড একটু এড়িয়ে চলুন।
এই মুহূর্তে গোটা দেশেই করোনা মহামারীর আবহ রয়েছে। যদিও ভারত সরকার ঘোষণা করেছে চলতি বছরের মধ্যেই কোরোনার প্রতিষেধক ভারত বাজারে এসে যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, সেই প্রতিষেধক এখনো কিন্তু বাজারে আসে নি। তাই যতক্ষন না প্রতিষেধক এসে যাচ্ছে, ততক্ষণ কোরোনার হাত থেকে রেহাই পেতেই হবে। তাই সব রকম স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই পালন করতে হবে। যেমন মুখে মাস্ক পড়তেই হবে। হাত বার বার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।অযথা মুখে বা চোখে হাত দেওয়া চলবে না। হাতে নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। এই সময়টায় মশার আক্রমন থেকেও নিজেকে বাঁচাতে হবে, কেননা ডেঙ্গুর ভয়টা এখনো থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শিশুদের জন্যে। 

No comments:

Post a Comment