মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৭/০৭/২০২০ : "করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যদি দেখা যায় খুব বেশি হতাশ বোধ কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠছেন অথবা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন , তাহলে করোনা ভাইরাস সেই রোগীর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করেছে বলে বোঝা যায়", আজ এমনটাই দাবী করলেন সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা।
সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ইত্যাদির লক্ষণ দেখা যায়, কিন্তু করোনা ভাইরাস যদি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করে বসে, তাহলে উত্তেজিত হওয়া, আতঙ্কিত হওয়া, খুব বেশি রকম হতাশ হয়ে পড়ার পাশাপাশি আরও যে লক্ষণগুলি দেখা যাবে সেগুলি হল গন্ধ নেওয়ার অক্ষমতা, জিভে স্বাদ নেওয়ার অক্ষমতা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি।
তবে করোনা ভাইরাস যে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমন করবেই এমন কথা নেই, তবে যদি করে তাহলে বিপদ বাড়বে। কেননা দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে হলে মনের জোর বা আত্মবিশ্বাসটাও অনেক ভাল কাজ করে। ভারতে এমন অনেক বয়স্ক মানুষ দেখা গিয়েছে, যাঁদের বয়স হয়ত ৯০এর ঊর্র্ধে, এমনকি শতাধিক বয়সের রোগীও পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা করোনা রোগকে পরাজিত করেছেন শুধুমাত্র মানসিক জোর ছিল বলেই। আত্মবিশ্বাস কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
সুইজারল্যান্ডে করোনা সংক্ৰমন হয়ে যাওয়ার ৬ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে এমন ১১৪ জন মানুষের সাথে গবেষকরা টেলিফোনে কথা বলে তাঁদের মনস্তত্ব বিচার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, করোনা রোগকে হারাতে গেলে মানের জোর থাকা অত্যন্ত জরুরি। ওই ১১৪ জন রোগীর প্রায় সকলেই এই কথা জানিয়েছেন। আসলে এটাও ঠিক যে, যেহেতু করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য ভান্ডার বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পর্যন্ত নেই, যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো বাজারে আসেনি, এই কারণগুলোও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আতঙ্ক তৈরি করার জন্যে যথেষ্ট। তবু গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলেও কুছ পরোয়া নেই। চিকিৎসার পাশাপাশি মনের জোর থাকুক অটুট।তাহলেই করোনা ভাইরাস পিছু হঠতে থাকবে।
সৌজন্যে : ANI
No comments:
Post a Comment