Wednesday, November 9, 2022

রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু

রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু


মেডিক্যাল নিউজ প্লাস, ০৯/১১/২০২২ : পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জেলায় উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ডেঙ্গুর মশার পরিমাণ বেড়েছে অনেকটা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং আলিপুর দুয়ার এই জেলাগুলিতে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। 

দক্ষিণ বঙ্গের হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলী জেলাতে যথেষ্ট বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। খোদ কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় আজ এক আট বছরের বালিকার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। গতকাল এক গৃহবধূর মৃত্যুও হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রায় করোনার  মতই  মারাত্মক হতে চলেছে এই ডেঙ্গু রোগটি।

কলকাতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পথে নেমে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। নিয়ম করে জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো এবং মশা নাশক তেল স্প্রে করে যাওয়া হচ্চ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে মেশিনের সাহায্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডেঙ্গুর মশাকে রোধ করা সহজ হচ্ছে না; উল্টে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভীড় যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। 

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আজ নিজের ওয়ার্ড অর্থাৎ চেতলা অঞ্চলে পথে নেমে প্রচার চালান। নিজে হাতে জঞ্জাল পরিস্কারও করেন। ডেঙ্গু মশার এই বৃদ্ধির জন্যে তিনি অবশ্য গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে দায়ী করেছেন। যে কারনে শুধু কলকাতা নয় দেশ এবং বিদেশেও ডেঙ্গুর প্রকোপের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও কলকাতার এক শ্রেণীর মানুষের অসচেতনতাকেও তিনি দায়ী করেছেন ডেঙ্গু বাড়ার জন্যে। তিনি জানান, কলকাতায় বিভিন্ন নির্মীয়মান বাড়িতে জল জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে চায়ের ভাঁড়ে, গাড়ির পরিত্যক্ত চাকায় জল জমে থাকছে যেখান থেকে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায় প্রয়োজনে আইন বদল করে সংশ্লিষ্ট মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করেন তিনি। ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধে ফিরহাদ হাকিম সাধারণ মানুষের সচেতনতার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর মশা পরিষ্কার জলে বংশ বিস্তার করে এবং এই মশা সাধারণত সকালের দিকেই কামড়ায়। তাই সকলকেই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।  সবাইকে সচেতন থাকতে হবে যাতে বাড়ির আশেপাশে আনাচে কানাচে জঞ্জাল এবং জল না জমে যায়।  কোনোভাবেই জমা জলে মশার লার্ভা যাতে বংশবিস্তার করতে না পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।  অনেক সময় বিভিন্ন খানাখন্দে বা গর্তে বৃষ্টির জল জমে গিয়েও মশার বংশবিস্তারে সহায়ক হয়ে ওঠে. তাই বাড়িরই আশেপাশে নজরদারি চালাতে হবে।  

No comments:

Post a Comment