Tuesday, June 13, 2023

অতিরিক্ত প্রোটিন ডেকে নিয়ে আসে ইউরিক এসিডকে

অতিরিক্ত প্রোটিন ডেকে নিয়ে আসে ইউরিক এসিডকে


মেডিকেল নিউজ প্লাস, 13/06/2023 : মাঝে মাঝে পায়ের পাতায় খুব ব্যথা হয়। পায়ের গাঁটগুলোতে কিংবা পায়ের বুড়ো আঙুলের গাঁটেও ব্যথা হয়। 

রক্ত পরীক্ষা করে অবশ্যই দেখা দরকার শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা কতটা ? ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে গাঁটগুলিতে খুব ব্যথা হয়। ব্যথার জেরে মাটিতে পা ফেলাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। জুতোও পায়ে গলানো মুস্কিল হয়। অনেক সময় পা ফুলে ওঠে। জায়গাটা গরম হয়ে যায়, লালচে হয়ে ওঠে। সেটা অবশ্য সেলুলাইটিসের লক্ষণ। 

এখন জানতে হবে ইউরিক এসিড বাড়ে কেন। এখনকার ব্যস্ত জীবন যাত্রায় আমরা এমন অনেক খাবার খাই যে খাবারগুলিতে প্রোটিন অনেক বেশি থাকে। যদি দেহে অধিক মাত্রায় পিউরিন যুক্ত প্রানীজ প্রোটিনের বিশ্লেষন বেশি হয়ে যায় তাহলেই ইউরিক এসিডের মাত্রাও বেড়ে যায়। যেমন যদি অধিক মাত্রায় রেড মিট অর্থাৎ মাটন, ডিম, মেটে ইত্যাদি বেশি খাওয়া হয় তাহলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। নিয়মিত এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। 

ইউরিক এসিড হল রক্তে পাওয়া এক ধরনের রাসায়নিক যা তৈরি হয় যকৃতে। আবার পিউরিন যুক্ত খাবার হজমের সময়ও তৈরি হয়। বিভিন্ন রকম ডাল (মুগ ডালে কম), মাশরুম, পালং শাক, বরবটি, শিম, কলা, আম, সবেদা, খেজুর, আখ, কিসমিস জাতীয় খাবারে পিউরিন অনেক বেশি থাকে। এমনকি বিয়ারেও বেশি থাকে পিউরিন। ইউরিক এসিড রক্তে মিশে গিয়ে কিডনিতে প্রবেশ করে। কিডনি মূত্র হিসেবে দেহ থেকে বের করে দেয়। কিন্তু রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে কিডনি সবটা বের করে দিতে পারে না। তখনই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। একে হাইপার ইউরিসেমিযা বলে।

যে সব খাবারে ফাইবার থাকে সেইসব খাবার রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে শরীরের বাইরে বের করে দেয়। ইসবগুল, ব্রকলি, ওটস, কমলা লেবু, আপেল, নাসপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, সেলারি, গাজর, বার্লি, কলা রক্তে এসিড কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।

শরীরে ইউরিক এসিড যাতে না বাড়ে তার জন্য নিয়মিত হাঁটা, জগিং করা যেতে পারে। সাইকেল চালানো বেশ কার্যকরী। নাচও ভালো ব্যায়াম। মোট কথা খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হবে। বেশি প্রোটিন আছে এমন খাবার খাওয়া চলবে না। ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরে ইউরিক এসিড ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

Wednesday, November 9, 2022

রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু

রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু


মেডিক্যাল নিউজ প্লাস, ০৯/১১/২০২২ : পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জেলায় উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ডেঙ্গুর মশার পরিমাণ বেড়েছে অনেকটা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং আলিপুর দুয়ার এই জেলাগুলিতে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। 

দক্ষিণ বঙ্গের হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলী জেলাতে যথেষ্ট বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। খোদ কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় আজ এক আট বছরের বালিকার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। গতকাল এক গৃহবধূর মৃত্যুও হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রায় করোনার  মতই  মারাত্মক হতে চলেছে এই ডেঙ্গু রোগটি।

কলকাতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পথে নেমে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। নিয়ম করে জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো এবং মশা নাশক তেল স্প্রে করে যাওয়া হচ্চ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে মেশিনের সাহায্যে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডেঙ্গুর মশাকে রোধ করা সহজ হচ্ছে না; উল্টে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভীড় যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। 

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আজ নিজের ওয়ার্ড অর্থাৎ চেতলা অঞ্চলে পথে নেমে প্রচার চালান। নিজে হাতে জঞ্জাল পরিস্কারও করেন। ডেঙ্গু মশার এই বৃদ্ধির জন্যে তিনি অবশ্য গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে দায়ী করেছেন। যে কারনে শুধু কলকাতা নয় দেশ এবং বিদেশেও ডেঙ্গুর প্রকোপের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও কলকাতার এক শ্রেণীর মানুষের অসচেতনতাকেও তিনি দায়ী করেছেন ডেঙ্গু বাড়ার জন্যে। তিনি জানান, কলকাতায় বিভিন্ন নির্মীয়মান বাড়িতে জল জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে চায়ের ভাঁড়ে, গাড়ির পরিত্যক্ত চাকায় জল জমে থাকছে যেখান থেকে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায় প্রয়োজনে আইন বদল করে সংশ্লিষ্ট মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করেন তিনি। ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধে ফিরহাদ হাকিম সাধারণ মানুষের সচেতনতার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর মশা পরিষ্কার জলে বংশ বিস্তার করে এবং এই মশা সাধারণত সকালের দিকেই কামড়ায়। তাই সকলকেই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।  সবাইকে সচেতন থাকতে হবে যাতে বাড়ির আশেপাশে আনাচে কানাচে জঞ্জাল এবং জল না জমে যায়।  কোনোভাবেই জমা জলে মশার লার্ভা যাতে বংশবিস্তার করতে না পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।  অনেক সময় বিভিন্ন খানাখন্দে বা গর্তে বৃষ্টির জল জমে গিয়েও মশার বংশবিস্তারে সহায়ক হয়ে ওঠে. তাই বাড়িরই আশেপাশে নজরদারি চালাতে হবে।  

Tuesday, November 8, 2022

অন্তসত্বা মায়েরা সাবধান ! অন্তসত্বা থাকার সময় অতিরিক্ত কফি, চকোলেট এড়িয়ে চলুন

অন্তসত্বা মায়েরা সাবধান ! অন্তসত্বা থাকার সময় অতিরিক্ত কফি, চকোলেট এড়িয়ে চলুন


মেডিক্যাল নিউজ প্লাস, ০৮/১১/২০২২ :  অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা সাবধান ! গর্ভধারনের সময় শরীরে অতিমাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ করলে নবজাতকের উচ্চতা অন্তত এক ইঞ্চি কম হতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। গর্ভের নব জাতকের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে ক্যাফেইন, তাই এই সময়টাতে অতিরিক্ত কফি, চকোলেট বা এমন কোনো খাদ্য যাতে ক্যাফেইন আছে, তা এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বোর্ড স্বীকৃত ওবি-জীন এবং নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা ড: মন্টে স্বরূপ এই বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, "অন্তঃসত্বকালীন মায়েদের খুব বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করা উচিত নয়।  অবশ্য সারা দিনে সীমিত পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ করা যেতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সারাদিন খুব বেশি হলে ২০০ মি.লি. ক্যাফেন গ্রহণ করা যায়।"  অর্থাৎ ক্যাফেইন জিনিসটাই গর্ভে থাকা ভ্রুনের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

অন্তসত্বা অবস্থায় গর্ভধারিনী মায়েরা চিকিৎসকদের সংস্পর্শেই থাকেন। মায়ের কেস হিস্ট্রি দেখে চিকিৎসক নানান সতর্কবার্তা দিয়েও থাকেন। কিন্তু এবার এই অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও জুড়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের দেশে কফি খাওয়ার চল অনেকটাই বেড়েছে, তাছাড়া সামনেই আসতে চলেছে শীতকাল। এই সময়টাতেও কফি খাওয়ার অভ্যেস বেড়ে যায় বছরের অন্যান্য সময়ের চাইতে।  তবে শুধু কফি নয়, অন্তসত্বা থাকা র সময় মায়েদের নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত চকোলেট জাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাসও। 

Wednesday, July 14, 2021

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে বাঁচুন

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে বাঁচুন


মেডিকেল নিউজ প্লাস, 14/07/2021 : আজকাল আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, আর এটাও জানি যে মোবাইল ফোনের একটা রেডিয়েশন আছে যা কিনা আমাদের শরীরের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। তা সত্ত্বেও আমরা সারাদিন ধরে মোবাইল ফোন আঁকড়ে থাকি।

মোবাইল ফোনের এই রেডিয়েশন থেকে আমাদের নিস্তার নেই। কিন্তু কিছু নিয়ম পালন করলে মোবাইল ফোনের এই রেডিয়েশন থেকে কিছুটা হলেও আমরা নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি। আসুন সেগুলো এবার জেনে নিই। 

প্রথমত, মোবাইল ফোনটিকে শরীর থেকে যতটা সম্ভব দুরে রাখুন। কথা বলার সময় হেড ফোন ব্যবহার করুন। না হলে স্পিকার ফোন ব্যবহার করুন।

দ্বিতীয়ত, একসাথে অনেক্ষন ধরে ফোনে কথা বলবেন না। দরকারে টকিং লিমিট দিয়ে রাখুন, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর ফোন আপনা আপনি কেটে যায় । ভয়েস কলের বদলে যতটা সম্ভব টেক্সট মেসেজ করুন। 

তৃতীয়ত, বদ্ধ ঘরে বা ছোট ঘরে দরজা জানলা বন্ধ করে ফোন ব্যবহার না করাই ভাল। এমনকি গাড়ির সব জানলার কাঁচ তুলে দিয়ে বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে ফোনের রেডিয়েশন অনেক বেশি ক্ষতি করে।

চতুর্থত, মোবাইলের ব্যাটারি কমজোর থাকলে রেডিয়েশন বেশি থাকে। নেটওয়ার্ক ঠিক নেই, ঠিকমত শোনা যাচ্ছে না, কথা কেটে কেটে যাচ্ছে এমন অবস্থায় খুব প্রয়োজন না থাকলে মোবাইল ব্যবহার না করাই ভাল। 

পঞ্চমত, শিশুদের ওপর মোবাইলের রেডিয়েশন বেশ প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের আব্দার দুরে সরিয়ে রেখে মোবাইল ফোনকেও তাসের থেকে দুরে রাখতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের থেকেও মোবাইল ফোনকে দুরে রাখতে হবে। 

এছাড়া আপনার ফোনের রেডিয়েশন ঠিক কত তা জেনে নিন *#07# এ ফোন করে। এটা হল SAR Value. যা হওয়া উচিত 2.0w/kg.এর কম। অর্থাৎ মানব শরীরের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনে কতটা রেডিয়েশন আছে, সেটা বোঝা যায়। ভারতে এই মাত্রা 1.6 এ বাঁধা আছে।অনেকেই আছেন ফোন হারাবার ভয়ে ফোন সব সময় শরীরের খুব কাছে রাখেন অথবা পকেটে রাখেন সব সময়। মোবাইল ফোন সারাদিন শরীরের কাছাকাছি না রেখে যথা সম্ভব দুরে রাখুন। এমনকি রাতে ঘুমোনোর সময় বালিশের নিচে বা বিছানাতেই রাখবেন না। পারলে রাতে মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করে রাখুন।

সব রকম ফল একসাথে খাওয়া যায় না কেন ?

সব রকম ফল একসাথে খাওয়া যায় না কেন ?


মেডিকেল নিউজ প্লাস, 14/07/2021 : অনেকেই ফল খেতে বেশ পছন্দ করেন অনেকেই আবার ফলাহার করেন অর্থাৎ ফল খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। কিন্তু জানেন কি সব রকম ফল একসাথে খাওয়া ঠিক নয় ? তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এবার জেনে নিন ফল খাওয়ার নিয়ম কানুন।

ফল বেশ পুস্টিকর খাদ্য হলেও একসাথে সব রকম ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ফল খাওয়ার সময় ফলগুলিকে ভাগ করুন তিন ভাগে। মিষ্টি ফল, টক ফল এবং দুটোর কোনোটাই নয় এমন ফল। টক ফলের সাথে মিষ্টি ফল মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। আঙুর, আপেল, পেযারার সাথে কলা বা কিসমিস খাওয়া ঠিক নয়।

যখন তরমুজ খাবেন তখন শুধু তরমুজই খান, অন্য ফল মিশিয়ে খাবেন না। কারন তরমুজ ফলটিতে জলের ভাগ থাকে অনেক বেশি। ফলে তরমুজ যত তাড়াতাড়ি হজম হবে, অন্য ফল তত তাড়াতাড়ি হজম হবে না। ফলে পেটে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ফল খাওয়ার সময় সব্জি খাওয়াও উচিত নয়। ফল দ্রুত হজম হয়। সব্জি অনেকটা পরে হজম হয়। আবার ফলে শর্করা বেশি থাকে যা সব্জি হজমের ক্ষেত্রে বাধার কারন হয়ে উঠতে পারে। তাই আপেল খেতে খেতে গাঁজর খাওয়া ঠিক হবে না। এতে গ্যাস, বমিভাব এবং মাথা যন্ত্রণাও অনুভূত হতে পারে।

স্টার্চ আছে এমন খাবারের সাথেও ফল খাওয়া ঠিক নয়। যেমন আলু, ভুট্টা বা পানিফলের সাথে পেয়ারা, আপেল খাওয়া ঠিক নয়। কেননা প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম করতে চাই এসিড বেস এবং স্টার্চ জাতীয় খাবার হজম করতে লাগে এলকালাইন বেস। তাই এই দুই রকম খাদ্য একসাথে গ্রহণ করা ঠিক নয়। 

রাতের খাবারে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে পরের দিন সকালে একটু পেঁপে খান । কারন পেঁপেতে থাকে প্যাপেইন, যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে।

Tuesday, July 13, 2021

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া খুব জরুরী

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া খুব জরুরী


মেডিকেল নিউজ প্লাস, 13/07/2021 :   ঘুম মানুষের জীবনে অত্যন্ত প্রযোজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ । রাতের বেলায় 6-7 ঘণ্টার নিশ্চিন্ত ঘুম শরীর এবং মনকে সতেজ রাখে। তাই তরতাজা ও কর্মমুখর থাকতে হলে ঠিকমত ঘুম হওয়াটাও খুব দরকার। শরীরকে বিশ্রাম না দিলে শরীর বিদ্রোহ তো করবেই।

অনেকের আবার অনিদ্রা জনিত সমস্যা থাকে। অনেকে রাত জেগে মোবাইল ফোন ঘাঁটেন, কেউ টিভি দেখেন। তাতে চোখ ও মস্তিস্কের ওপর অত্যাচার করাই হয়। ক্ষতি হয় শরীরের।

ঠিকমত ঘুম না হলে শরীরে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ক্ষতি হয় নার্ভেরও। হৃত্পিণ্ড এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। এর ফলে হৃদরোগ, হাইপার টেনশন এবং ব্লাড প্রেসারের সমস্যা তৈরি হয়।

অনিয়মিত ঘুমের ফলে শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণ কম বেশি হয়। তাতে ইন্সুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ডায়াবেটিস বা সুগার হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

ঘুম না হলে বা পর্যাপ্ত পরিমানে না হলে শরীরের ভিতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বেড়ে যায়।

ঘুম কম হলে হৃত্পিণ্ডের সমস্যা বাড়তে পারে। কেননা ঘুম পর্যাপ্ত পরিমানে হলে হৃত্পিণ্ড এবং মস্তিস্কের একাংশ বিশ্রাম পায়। দীর্ঘদিনের অনিদ্রা হৃদরোগ ডেকে আনে।

এছাড়াও ঘুম ঠিকমত না হলে হজমের সমস্যাও হয়। সুতরাং সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে আর তাই রাত জাগার অভ্যাস থাকলে এখনই তা বর্জন করুন, তা সে কাজের চাপ যতই থাক না কেন।

মোমোতে সাবধান ! রোজ রোজ মোমো খাবেন না

মোমোতে সাবধান ! রোজ রোজ মোমো খাবেন না


মেডিকেল নিউজ প্লাস, 13/07/2021 : মোমো খেতে আমরা সকলেই বেশ ভালবাসি। ভেজ মোমো হোক বা নন ভেজ মোমো হোক, এক বাটি স্যুপ আর চাটনি দিয়ে টিফিন সেরে ফেলতে আমরা এখন অনেক অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। তিব্বতি খানা এই মোমোর চাহিদা এখন এতটাই তুঙ্গে উঠেছে যে রেস্তরাঁগুলো তো বটেই, পাড়ার মোড় বা অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে মোমোর দোকান। মোমোর দাম নিয়েও শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। কিন্তু জানেন কি নিয়মিত মোমো খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে ? নিয়মিত মোমো খেলে আমদের শরীরে আট রকম ক্ষয়ক্ষতি হওয়র সম্ভাবনা থাকে। কি সেগুলো ? আসুন জেনে নিন - 

1) মোমো যে ময়দা দিয়ে তৈরি হচ্ছে তাতে কিছু কেমিক্যাল মেশানো থাকে। ময়দার সাথে থাকে azodicarbonamide, chlorine gas, benzoyl peroxide ও অন্যান্য কিছু ব্লিচ। এই কেমিক্যালগুলি প্যাংক্রিয়াসের ক্ষতি করে। ডায়াবেটিস নিয়ে আসতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

2) মোমোতে যে মাংস ব্যবহৃত হয়, কম দামে দেওয়ার জন্যেই হোক বা ব্যবসায়িক কারণেই হোক, বেশির ভাগ  সময় সেগুলো বাসি মাংসের কিমা করা থাকে। এগুলো সাধারণত টাটকা জাতীয় মাংস দিয়ে তৈরি হয় না।

3) মোমোর মধ্যে যে আনাজ ব্যবহার করা হয়, তা বেশিরভাগ সময় সতেজ থাকে না। নিম্ন গুণমানের হয়। এই আনাজ্গুলিকে ঠিকমত রান্নাও করা হয় না যার ফলে এই আনাজ্গুলো ইকোলি নামক ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। যা কিনা শরীরে নানান ইন্ফেকশন ছড়ায়।

4) লাল লঙ্কা শরীরের পক্ষে ভাল। কিন্তু যখন সেটা পাউডার ফর্মে নিয়ে আসা হয়, তখন কি আর শরীরের জন্যে ভাল থাকে ? রাস্তার ধারের মোমো স্টল থেকে যে চাটনি দেওয়া হয় মোমোর সাথে, সেই চাটনিতে থাকে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পরিমান মশলা। যাকে শ্পাইসি বলা যায়। এই ধরনের চাটনি শরীরকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে।



5) মোমোতে ব্যবহার করা হয় এমএসজি (মোনো সোডিয়াম গ্লূকামেট), যা শরীরকে স্থূল করে তলে। এমনকি নার্ভের অসুখের দিকেও নিয়ে যায়।

6) মোমোর মাংসে থাকে নানারকম টেপ ওয়ার্ম। যে কৃমি মস্তিস্কে গিয়েও হামলা চালাতে পারে। যেহেতু মোমোর মাংস রান্না করা হয় না, শুধুমাত্র সিদ্ধ করা হয়, তাই ঐ ওয়ার্ম অতটা গরমেও মরে যায় না। অবশ্য বীফ বা পর্ক মোমোর ক্ষেত্রেই এই ভয়টা বেশি থাকে। তবে মোমোর ভিতরে থাকা বাঁধাকপি থেকেই টেপ ওয়ার্ম শরীরে চলে যেতে পারে এবং মস্তিস্কে গিয়ে বাসা বাঁধতে পারে।

7) মোমো একটি তিব্বতি খাবার। ঠান্ডার দেশ তিব্বতে মোমো খেয়েও গা গরম করা যায়। ভারতের মত গরম দেশে মোমো খেলে অতিরিক্ত শরীর গরম হয়ে যায়। 

8) আমাদের দেশে কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে মোমোর মধ্যে কুকুরের মাংস কিমা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ক্রেতার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। 

তাই মোমো অবশ্যই উপভোগ করুন, কিন্তু দেখে নিন যে দোকান থেকে মোমো কিনবেন সেখানকার হাইজিনিক পরিবেশ যেন ভাল হয়। এছাড়াও নিয়মিত না খেয়ে অনিয়মিত মোমো খাওয়াই ভাল।

Monday, March 8, 2021

চোট আঘাত অনেক সময় খেলোয়াড়দের বসিয়ে দেয় সাইডলাইনের ধারে

মেডিকেল নিউজ প্লাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৯/০৩/২০২১ : খেলোয়াড়দের জীবনে চোট  আঘাত প্রায়ই লেগে থাকে। তা সে যে কোনো খেলাই হোক না কেন। তবে এমন কিছু কিছু চোট আঘাত মাঝে মধ্যে খেলোয়াড়দের জীবনে আসে, যা বেশ কিছুদিনের জন্যে সেই খেলোয়াড়কে সাইড লাইনের ধরে বসিয়ে রাখতে বাধ্য করে। কি করবেন এই  ধরনের সমস্যায় ?  জেনে রাখুন, কয়েকটি মূল্যবান পরামর্শ। বলছেন মেডিকা স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের প্রখ্যাত চিকিৎসক পুস্পকেতু কোনার।

সৌজন্যে : মেডি টিপস 

কেমন ছিল আজকের মহিলা ডাক্তারদের ডাক্তার হওয়ার দিনগুলো ?

মেডিকেল নিউজ প্লাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ০৮/০৩/২০২১ : আমাদের চারপাশে আমরা অনেক ডাক্তার দিদিমনিকে দেখতে পাই; একটা সময় ছিল যখন লেডি ডাক্তারের কথা আমাদের সমাজ ভাবতেই পারতো না; কাদম্বিনী দেবী ছিলেন প্রথম বাঙালি মহিলা ডাক্তার। তবে সেকালে মহিলা ডাক্তার হতে গিয়ে অনেক  গঞ্জনা স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁকে। আজ যাঁরা মহিলা ডাক্তার আমাদের সেবা করে চলেছেন প্রতিদিন,  কেমন ছিল তাঁদের ডাক্তার হয়ে ওঠার দিনগুলো ? আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই সব মহিলা ডাক্তারদের কুর্নিশ জানিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদন। 

সৌজন্যে : মেডি টিপস কেমন ছিল; 

Tuesday, March 2, 2021

জেনে নিন স্ট্রোক হলে কি করবেন

মেডিকেল নিউজ প্লাস, ০২/০৩/২০২১ : স্ট্রোক শব্দটা শুনলেই মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বাসা বাঁধে। কারোর স্ট্রোক হয়েছে শুনলেই আত্মীয় পরিজনদের মুখ শুকিয়ে যায়. আজকের এই পারবে আমরা মেডিকেল নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক শোভনার থেকে শুনে নেব  স্ট্রোক আসলে কি ? ঠিক ক করতে হব্ যদি বোঝা যায় কারোর স্ট্রোক হয়েছে ? কি ধরনের তাৎক্ষণিক কাজগুলি করা উচিত যদি দেখি আমাদের আশেপাশে কেউ স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

সৌজন্যে : মেডি টিপস 

Wednesday, November 4, 2020

এবার অনিদ্রা রুখতে আয়ুর্বেদের প্রয়োগ করা হবে ভারতে

এবার অনিদ্রা রুখতে আয়ুর্বেদের প্রয়োগ করা হবে ভারতে


মেডিকেল নিউজ প্লাস (বাংলা), নতুন দিল্লী, ভারত,  ০৪/১১/২০২০ :  প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা চোখ বন্ধ করে রাখা অথবা সুন্দর একটি ঘুমের থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিকূল প্রভাব সম্বলিত বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রায়শই শুনতে পাই। ঠিকমতো ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও স্থুলকায় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এই অনিদ্রার সমস্যার সমাধান ভারতের চিরায়ত চিকিৎসা শাস্ত্র- আর্য়ুবেদে পাওয়া গেছে বলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

শিলং-এ নর্থ ইস্টার্ন ইন্সটিটিউট অফ আর্য়ুবেদ অ্যান্ড হোমিওপ্যাথির থেকে প্রকাশিত আয়ুহোম-এ অনিদ্রা জনিত সমস্যার সমাধান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জয়পুরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ আর্য়ুবেদের পঞ্চকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর শাখার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর গোপেশ মঙ্গল এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। এ কাজে তাঁকে ওই সংস্থার দুই গবেষক নিধি গুপ্ত এবং প্রবেশ শ্রীবাস্তব সাহায্য করেছেন। 

আর্য়ুবেদের পঞ্চকর্ম থেরাপির মাধ্যমে অনিদ্রা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তারা সাফল্যর সন্ধান পেয়েছেন। এ সংক্রান্ত গবেষণায় দেখা গেছে অশ্বগন্ধার সঙ্গে শিরোধারা প্রয়োগ করে শমন চিকিৎসার মাধ্যমে অনিদ্রা জনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। 

Tuesday, September 15, 2020

দেশে দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে বেড়েছে মানসিক সমস্যা

দেশে দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে বেড়েছে মানসিক সমস্যা


মেডিকেল নিউজ প্লাস, ১৫/০৯/২০২০ : করোনা মহামারীর আবহে দীর্ঘদিন ধরে লক ডাউন চলার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার, সেই কারণে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও ভাবা হয়েছে। 

সাধারণ মানুষ ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাবের বিষয়টিকে উপলব্ধি করে  কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯-এর সময় সকলের মানসিক জোর বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে - ২৪X৭ হেল্পলাইন; মানসিক সমস্যা মোকাবিলার নীতি-নির্দেশিকা / পরামর্শ জারি; একাধিক গণমাধ্যমে মানসিক অবসাদ দূর করার উপযুক্ত পরামর্শ; ব্যাঙ্গালোর নিমহ্যানস প্রতিষ্ঠান মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টির ক্ষেত্রে বিস্তারিত নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। এছাড়াও মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য নীতি-নির্দেশিকা, পরামর্শ ও মানসিক চাপ দূর করার নানা পন্থাপদ্ধতি প্রকাশ করেছে।

মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পেশাদারদের অভাব একটি বড় সমস্যা। চলতি বছরে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শদাতাদের রাজ্যওয়াড়ি বিবরণ কেন্দ্রীয় স্তরে রাখা হয়নি। অবশ্য, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সহায়তায় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫টি উৎকর্ষকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এবং ৪৭টি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার মানবসম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এমনকি, একাধিক মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বা স্নায়বিক বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে।

রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।